2
কাটা পড়া সাবমেরিন ক্যাবল মেরামতের কাজ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি। সাগরতলে কাটা পড়া সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫) মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় সারা দেশে গত চারদিন ধরে ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সি-মি-উই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ে। তাদের ওখানে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে একটু বেশি সময় নেয়। সব মিলিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজটি হতে পারে। এখনো সব বিকল্পগুলো পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৪ এর সক্ষমতা রয়েছে পুরো ব্যান্ডউইডথ বহনের। এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি পে করতে হবে। তবে সেটা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলোর কাজ চলছে। সারা দেশে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইডথ আসে মূলত গভীর সমুদ্রের মধ্যদিয়ে আসা দুটো সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ ঢুকেছে কুয়াকাটা হয়ে। শনিবার বিএসসিপিএলসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার রাত ১২টায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা-সিঙ্গাপুর অভিমুখী সকল ট্রাফিক বর্তমানে বন্ধ আছে। সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে ক্যাবলটি মেরামত করে দ্রুত পুনঃসংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই ক্যাবলের মাধ্যমে সেবা বন্ধ থাকলেও সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবল এবং আইটিসি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট সেবা চালু রাখা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সি-মি-উই-৫ এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সি-মি-উই-৪ ক্যাবলে শিফটিং করা হচ্ছে। সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল পুনরায় মেরামত করে চালু না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেটের গতি ধীর থাকতে পারে।
You must log in or register to comment.